বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মৌলভীবাজার ইউনিটে চলছে নেতৃত্বের নামে চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও অবিচার। এই প্রতিষ্ঠানের ইউনিট লেভেল অফিসার কাজী জানে আলমের একক সিদ্ধান্তে যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-যুব প্রধান-১ পদ থেকে মিজানুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব হেডকোয়ার্টারেপাঠানো হয়েছে ।
১১ সেপ্টেম্বর বুধবার মিজানুর রহমানকে সরিয়ে দেয়ার জন্য কোন তদন্ত কমিটি গঠন ও প্রমাণ ছাড়া, এমনকি সংগঠনের শৃঙ্খলা বিধি উপেক্ষা করে হেডকোয়ার্টারে সুপারিশ পাঠানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন একনিষ্ঠ শুভাখাংকী হিসেবে তিনি অতীতে বারবার নিষ্ঠা, সাহস ও নৈতিক অবস্থানের পরিচয় দিয়েছেন। যে আন্দোলনে তার অবদান নিবিড়ভাবে জড়িত, সেই প্ল্যাটফর্মের নাম ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও পদের অপব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ ও অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে একটি ন্যক্কারজনক ষড়যন্ত্র করেছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মৌলভীবাজার ইউনিট অফিসার কাজী জানে আলম।
ইউনিট অফিসার কাজী জানে আলম পদের অপব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ ও অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে মিজানুর রহমানকে সরিয়ে দিতে চেয়েছেন। অথচ কোন তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়াই, প্রমাণ ছাড়া, এমনকি সংগঠনের শৃঙ্খলা বিধি উপেক্ষা করে হেডকোয়ার্টারে সুপারিশ পাঠানো হয়। এতে স্পষ্ট যে, এ সিদ্ধান্ত পূর্বপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অভিযোগে দাবি করা হয় যে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে’। অথচ বাস্তবে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীবাহিনী একযোগে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং মিজানুর রহমানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
মৌলভীবাজারের সচেতন নাগরিক সমাজ, স্বেচ্ছাসেবকগণ এবং ছাত্র সমাজ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হেডকোয়ার্টারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁরা রেড ক্রিসেন্টের গঠনতন্ত্র ও স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানান এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।